
- সেবা সমূহ
- প্রকল্প সমূহ
- কর্মকর্তা বৃন্দ
- তথ্য
- ফটোগ্যালারি
- অর্গানোগ্রাম
- পরিচালক বৃন্দ
- যোগাযোগ
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা
- নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- ডাউনলোড
- নোটিশ
- ত্রান
- রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য
- গভর্নিং বডি
- নির্বাহী পরিষদ
- কর্মকর্তার তথ্য
- কর্মী সংক্রান্ত তথ্য
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার তথ্য
- পরিচালক এর তথ্য
- প্রতিবেদন
দি গ্ল্যানকো ফাউন্ডেশন
দি গ্ল্যানকো ফাউন্ডেশন সম্পর্কে
ওয়াক ফর লাইফ - (দি ন্যাশনাল ক্লাবফুট প্রোগ্রাম অব বাংলাদেশ):
ওয়াক ফর লাইফ হল দি গ্লেনকো ফাউন্ডেশনের একটি কার্যক্রম। এটি বাংলাদেশের ক্লাবফুট চিকিৎসা কার্যক্রম যা ৩ বছরের নীচের শিশুদের পনসেটি পদ্ধতিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে থাকে এবং যেখানে কোন বড় অপারেশনের প্রয়োজন হয় না।
ওয়াক ফর লাইফ ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যশোর জেলা সদর হাসপাতাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। সাফল্য লাভের পর এই কার্যক্রম সারাদেশে ৩৪টি হাসপাতালে ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে সম্প্রসারিত করা হয়েছে এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।
এর ফলে কোন শিশুকেই চিকিৎসার জন্য ৬০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করতে হবে না। ওয়াক ফর লাইফ কার্যক্রম মূলত সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।
৫ই মে ২০১০ সাল হতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ৩২নং রুমে মুগুর পা সমস্যাজনিত বাচ্চাদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০৯০ (এক হাজার) ক্লাবফুট শিশু এই চিকিৎসার আওতাভুক্ত রয়েছে। প্রতি রবি, মঙ্গল এবং বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল ৯ট হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। যোগাযোগ - ০১৮৪৭-০৬৭৭৪৩.
বাংলাদেশে ক্লাবফুট এর ব্যাপকতা এবং পনসেটি চিকিৎসা পদ্ধতি:
প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৩৯০০ হাজার শিশু ক্লাবফুট নিয়ে জন্মগ্রহণ করে (এটি একটি শারীরিক সমস্যা যেখানে বাচ্চার পায়ের পাতা ভিতরের দিকে বাঁকানো থাকে)।
এটার চিকিৎসা না করালে এটি সারা জীবনের জন্য বিকলাঙ্গতা বা পঙ্গুত্ব বয়ে নিয়ে আসে। এসব শিশু পরবর্তীতে পরিবারের বোঝা হয়ে যায়, যা দারিদ্রের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশের অনেক ভিক্ষুকদের মাঝে ক্লাবফুট এর সমস্যা বিদ্যমান। বড় শিশু বা বয়স্কদের ক্লাবফুট এর চিকিৎসার জন্য অর্থোপেডিক সার্জারীই একমাত্র চিকিৎসা; কিন্তু এটি অনেক ব্যয়বহুল যা আমাদের দেশের সাধারণ দরিদ্র মানুষের পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব হয় না। তবে ছোট শিশুরা পনসেটি পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে। এটি অত্যন্ত কার্যকর, সুলভ এবং স্থায়ী চিকিৎসা। পনসেটি চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন বড় ধরনের সার্জারীর প্রয়োজন হয় না। এই পদ্ধতিতে ক্লাবফুট (মুগুর পা) শিশুদের ধারাবাহিকভাবে প্লাস্টার করা হয়। এই প্লাস্টারগুলো এক সপ্তাহ করে স্থায়ী হয়। গড়ে প্রতি ক্লাবফুট (মুগুর পা) শিশুর পাঁচটি প্লাস্টার প্রয়োজন হয়। ৮০-৯০% শিশুর ক্ষেত্রে টেনোটমি নামে ছোট একটি অপারেশন প্রয়োজন হয়। চিকিৎসার সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে ব্রেসিং (বিশেষ ধরনের জুতা ক্লাবফুট শিশুদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়)।
ক্লাবফুট শিশুদের পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রেস ব্যবহার করতে হয়। গত ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ইং পর্যন্ত ওয়াক ফর লাইফ প্রকল্পটি সারা বাংলাদেশে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২০৮০০ এর অধিক শিশুর ২৬০০০ এর অধিক মুগুর পা চিকিৎসার আওতায় এনেছে। এর মধ্যে ৭০% ক্লাবফুট শিশু এখনও ব্রেস ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ওয়াক ফর লাইফ ক্লাবফুট নিয়ে জন্মানো শিশুদের আজীবন প্রতিবন্ধী জীবন দূরীকরণের জন্য একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সর্বসাধারণের সহযোগিতায় সরকার, এনজিও, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যসেবীগণ দ্রুত ক্লাবফুট চিকিৎসার লক্ষ্যে কাজ করছেন। আন্তর্জাতিক ক্লাবফুট বিশেষজ্ঞগণ নিয়মিত এ কার্যক্রমের মান নিশ্চিত করেন। এছাড়া ওয়াক ফর লাইফের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক মানের ব্রেস বা ক্লাবফুট জুতা যশোরে অবস্থিত কারখানায় তৈরি করা হয়।
ওয়াক ফর লাইফ -লক্ষ্য:
ক্লাবফুট বা “মুগুর পা” নিয়ে জন্মানো সকল শিশুর সুচিকিৎসার সুযোগ দেয়া যাতে কোন শিশুকে প্রতিরোধযোগ্য এ প্রতিবন্ধী জীবনের শিকার না হতে হয়।
ওয়াক ফর লাইফ -উদ্দেশ্য:
বাংলাদেশে ক্লাবফুট নিয়ে জন্মানো সকল শিশুর যথাযথ সুযোগ-সুবিধা এবং অভিভাবক ও স্বজনদের তথ্যদানের মাধ্যমে শিশুর ৩ বছর বয়স পেরুনোর আগেই ওয়াক ফর লাইফ কার্যক্রমের মাধ্যমে চিকিৎসা নিশ্চিত করা।