আসক্ত পূনর্বাসন সংস্থা (আপস) এর সেবা সমূহ

সেল্প-হেল্প গ্রম্নপ গঠন: ইনজেকশনে মাদক ব্যবহারকারীরা যেহেতু সমাজের প্রানিত্মক জনগোষ্ঠী । তাই সমাজে তাদের গুরুত্ব খুবই কম হওয়াই তারা সমাজের মূল ধারায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ কম পায়। যার কারণে প্রাক্তন মাদকসেবীদেরকে নিয়ে আত্ম-সহায়ক দল গঠন করার বিষয়টা অতীব জরুরী। যে সমস্ত মাদকসেবী মাদক মুক্ত আছে , আপস তাদের একত্রিত করার চেষ্টায় নিয়োজিত, যাতে তারা এ ধরনের দলের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে সম্মিলিত কণ্ঠে সোচ্চার হয়ে উঠার সুযোগ পায় এবং নিজেদের ভিতরের শক্তিকে উপলব্ধি করতে পারে এবং নিজেদের পক্ষে কথা বলতে পারে। তারা ঐকান্তিক ভাবে কাজ করে যেন স্বাবলম্বী হতে পারে, সে ব্যাপারে আপস প্রাক্তন মাদকসেবীদের সাথে নিরলস ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র:
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তার পরও মানুষ তার কু-প্রবৃত্তিকে দমন করতে না পেরে বিবেককে বিসর্জিত দিয়ে খারাপ অশ্লীল কাজসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয়। এক সময় মানুষ মদ-জুয়াসহ বিভিন্ন মাদকে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তাই, আপস এর ভাষায় ‘একজন আসক্ত ব্যক্তি খারাপ নয়, পাগল ও নয়, কিন্তু অসুস্থ’। একজন আসক্ত ব্যক্তির মাদকাসক্ত রোগের ফলে তার নীতি নৈতিকতা, সৃজনশীলতা, বিবেকবোধ এবং দায়িত্ববোধ তথা মানুষিক ও আধ্যাত্মিক মারাত্মক অবনতি ঘটে। যা কোন ঔষধে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। যার ফলে সমাজে চুরি,ছিনতাই ও অপহরণসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধ বৃদ্ধি পেতে থাকে। মাদকসেবী/মাদকাসক্তদের কথা চিন্তা করে আপস তার নিজস্ব অর্থায়নে একটি মাদক নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিচালিত করছেন। এছাড়াও গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে মাদক গ্রহণকারীদের ডিটক্সিফিকেশন করানো হয়। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে মাদক না নেয়ার ফলে শরীরে যে প্রত্যাহার বা উপসর্গগুলো দেখা দেয় তা মোকাবেলার সঙ্গে সঙ্গে শরীরকে মাদক মুক্ত করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিটক্সিফিকেশন’, এটি সমন্বিত ঝুঁকি হ্রাসের একটি জরুরী উপাদান। ডিআইসি পর্যায় থেকে নির্বাচন কৃত ক্লায়েন্টরাই শুধু মাত্র বিনামূল্যে এইচআইভি প্রোগ্রামের আওতায় উক্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়াও উক্ত প্রকল্পের আওতায় ডিআইসি পর্যায়ে এলাকার জনগণের স্বদিচ্ছা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কমিউনিটি বেজ্ড ডিটক্সিফিকেশন ক্যাম্প পরিচালিত হয় । উল্লেখ থাকে যে, আপস প্রাক্তন মাদকসেবীদের সেল্ফ-হেল্প গ্রুপ ভিত্তিক একটি সংগঠন। উক্ত সংগঠনের বেশীরভাগ রিকভারী মাদকসেবী আপসে কর্মচারী এবং কর্মকর্তা পর্যায়ে কাজ করছে। মাদকের ভয়াল অন্ধকার থাবা থেকে মুক্ত হয়ে যারা সুস্থ জীবন-যাপন করছে তাদের কর্মসংস্থানের জন্য আপস সব সময় সুযোগ সন্ধানে বদ্ধ পরিকর। উক্ত প্রতিষ্ঠানে মাদকসেবী ও মানসিক রোগীদের নীতি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ কার্যক্রম গঠন, আধ্যাত্মিক উন্নয়ন শিক্ষা কার্যক্রম,কাউন্সিলিং, দলগত ও ব্যক্তিগত শেয়ারিং, ব্যায়াম ও বিনোদন,মেডিটেশন ও প্লানিং, ফ্যামিলি কাউন্সিলিং, চিকিৎসা পরবর্তী পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ, মন উৎফুল্ল করণ কার্যক্রমসহ মাদকসেবীদের জীবনদান উন্নয়নে গবেষণা করা হয়। যাতে করে মাদকসেবীরা আপস থেকে চিকিৎসা নিয়ে তার পরিবারে ফিরে গিয়ে স্বাভাবিক এবং সুস্থ্য জীবন-যাপন করতে পারে।

কারিগরি প্রশিক্ষণ:
আপস মাদকাসক্ত এবং মানসিক রোগীর চিকিৎসা করেই শুধু ক্ষান্ত হয়নি তারা যেন সুস্থ জীবনে ফিরে গিয়ে বেকারত্ব জীবনের অবসান ঘটিয়ে আত্ম নির্ভরশীল হয়ে নতুনভাবে নিজের জীবনকে পুনর্বাসিত করতে পারে তার জন্য আপস প্রাক্তন মাদকসেবীসহ তরুণ-তরুণী,যুব শ্রেণী এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরিচালিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ২০১২ সালে স্থাপিত হয়।এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল, Auto CAD কোর্স, কম্পিউটার সার্ভিসিং ও ক্রয়-বিক্রয়, Cyber Cafe শিখানো হয়। এছাড়াও আপস এর জিএফ প্রকল্পের অধীনে মোমবাতি বানানো, সেলাই প্রশিক্ষণ,ওয়েল্ডিং,সাইকেল-মোটরসাইকেল মেরামত ইত্যাদি হাতে-কলমে এমওইউ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দক্ষ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। উলেস্নখ থাকে যে, মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে সুস' হয়ে উক্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রাক্তন মাদকসেবীদের চাহিদা ও ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী হাতে কলমে ১৪১ জন মাদকসেবী সেলাই, ১৯৫ জন মোমবাতি বানানো , ৮৫ জন কম্পিউটার, ১০ জন সাইকেল, ৫ জন মটর সাইকেল, ২ জন কাঠমিস্ত্রি , ৬ জন ওয়েল্ডিং, প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত হয়। যার মধ্যে ৮২ জন প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরে গিয়ে আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

কর্মী উন্নয়ন:
দক্ষ কর্মী একটি সংস্থার মেরুদন্ড। একজন কর্মীকে কর্মসূচী বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ভাবে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে, তবেই কোয়ালিটি পূর্ণ কাজ কর্মীরা প্রকল্পকে উপহার দিতে পারবে। সেজন্য কেয়ার বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় প্রতিটি কর্মীকে তার চাহিদানুযায়ী দক্ষ মানব সম্পদে রুপান্তরিত করতে রিজিওনাল সাইডে আপস এর একটি ডিআইসিতে ট্রেনিং রিলেটেড যাবতীয় তথ্য সংবলিত করে ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে রাজশাহী ডিআইসিকে একটি টিচিং ডিআইসি হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে , যেখানে আপস এর কর্মীবৃন্দকে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য কেয়ার বাংলাদেশ তাদের সহযোগী পার্টনারদের স্টাফ পজিশনিং বৃদ্ধি করে টেকনিক্যাল অফিসার দিয়েছে। টেকনিক্যাল অফিসারকে উক্ত ট্রেনিং সেন্টারের জন্য অ্যাসাইন করা হয়েছে। টেকনিক্যাল অফিসারকে সহযোগিতায় মনিটরিং অফিসার ও প্রজেক্ট ম্যানেজার ট্রেনিং সংক্রান্ত বিষয় গুলোতে অংশ নেয়। কেয়ার বাংলাদেশ টেকনিক্যাল অফিসারকে নলেজ ট্রান্সফার করবে আর সেই নলেজ আপস টেকনিক্যাল অফিসারের তত্ত্বাবধানে টিচিং ডিআইসিসহ স্যাটেলাইট ডিআইসিগুলোতে ট্রান্সফার করবে। যাতে করে দক্ষ কর্মী গড়ে উঠে এবং আপস সফলতার সাথে সকল প্রজেক্ট পরিচালিত করতে পারে। এছাড়া ডিআইসি পর্যায়ে প্রতিমাসে ২বার শিক্ষামূলক অধিবেশন পরিচালিত হয়, যাতে করে সকল কর্মী নিয়মিত দক্ষতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বিষয় ভিত্তিক সেশনে অংশ নিতে পারে।
এছাড়া আপস সকল স্টাফদের বিনোদনের জন্য প্রতিবছর সোস্যাল গেদারিং এর আয়োজন করে। যেখানে আপস এর সকল স্টাফ ও তার পরিবার সহ এক সঙ্গে মিলিত হয়ে নিজেদের মধ্যে আনন্দ-দুঃখ ভাগাভাগি করে এবং বিভিন্ন রকম খেলা-ধূলা, কুইজ এ অংশ নিয়ে বিনোদন উপভোগ করার মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রাণবন্ত করে তোলে। উল্লেখ্য যে, উক্ত সোস্যাল গেদারিং এ আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ডিআইসি উপদেষ্টা কমিটি, আপসের নির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ অংশ নিয়ে থাকে।

৪. এইচ আইভি প্রোগ্রাম: এইচ আইভি ও এইডস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধপরিকর। সরকারের একাগ্রতা,নিষ্ঠা,দূরদর্শিতা ও সঠিক দিক নির্দেশনার ফলে সরকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও, গবেষণা সংস্থা,শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ, স্থানীয় উন্নয়ন সংঘ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/ প্রাইভেট সেক্টরের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সাধারণ মানুষের সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে এইচ আইভি ও এইডস কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তন্মধ্যে অন্যতম সহযোগী সংগঠন হচ্ছে আপস। লীড অর্গানাইজেশন কেয়ার বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম এর সহযোগিতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
বাংলাদেশে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও যুব সমাজ ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক ব্যবহারকারীরা আমাদের সমাজের প্রান্তিক ও অবহেলিত জনগোষ্ঠী । উক্ত জনগোষ্ঠীর মাদক ব্যবহারের মাত্রা হ্রাস করে একটা পর্যায়ে মাদক থেকে সম্পূর্ণ ফিরিয়ে এনে প্রাক্তন মাদক ব্যবহারকারীদের নিয়ে সেল্প-হেল্প গ্রুপ গঠনসহ তাদের ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সক্ষমতা বিকাশে আপস নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এইচ আইভি প্রকল্পের অধীনে আপসের চলমান কার্যক্রম সমূহ:
ক. ডিআইসি ভিত্তিক কার্যক্রম: ড্রপ-ইন-সেন্টার বা সংক্ষেপে ডিআইসি হল এমন একটি সেবা কেন্দ্র যেখান থেকে কোন সুবিধা বঞ্চিত ও প্রানিত্মক জনগোষ্ঠীকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সেবা দিতে হয়। ক্লায়েন্ট বা সেবা গ্রহীতাদের (আইডিইউ) জন্যে ড্রপ-ইন-সেন্টার হল একটি হুমকি মুক্ত ও নিরাপদ স্থান। এখানে তাদের প্রতি কোন প্রকার অবহেলা বা বৈষম্য করা হয়না। তাদের জন্য এখানে গোসল,বিশ্রাম ও ঘুমানোর সুবিধার পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে তারা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করতে পারে, নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা-বার্তা বলতে পারে। ইনজেকশন গ্রহণে সুঁই/সিরিঞ্জ ও যৌন আচরণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপকরণ পেয়ে থাকে। যৌন রোগের চিকিৎসা ও পরার্মশ ছাড়াও সীমিত পরিসরে সাধারণ অসুখের চিকিৎসা সুবিধাও দেয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে কাউন্সিলিং, মাদক ব্যবহারকারীদের ঘাঁ বা ক্ষত ব্যবস্থাপনা ও ভিসিটিসহ প্রয়োজনীয় রেফারেল ব্যবস্থা। ডিআইসিতে সুবিধাভোগীদের সেল্প-হেল্প গ্রম্নপ (আত্ম- সহায়ক দল) গঠন বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
খ.আউটরীচ ভিত্তিক কার্যক্রম: ব্যক্তিগত ও সামাজিক অনেক কারণেই আইডিউরা স্বাস্থ্যগত, সামাজিক, আর্থিক কিংবা আইনি সহায়তা নিতে আসতে পারেনা। ডিআইসি থেকে সেবা নেয়ার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই ক্লায়েন্টের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার দরকার হয়। এ লক্ষ্যে প্রতিটি ডিআইসি থেকে আউটরীচ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উক্ত আউটরীচ কার্যক্রমে প্রাক্তন মাদকসেবীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়। মাঠ কর্মীরা তিন ধরণের আউটরীচ সেবা দিয়ে থাকে সিরিঞ্জ/নিডিল বিনিময়, কনডম বিতরণ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা। আউটরীচ সেবায় কর্মীদের ব্যাগে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও নথিপত্র থাকে তা হল আউটরীচ কর্মীদের পরিচয় পত্র, এনএএসপি চিঠি ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ, আইইসি/বিসিসি উপকরণ, কনডম ও পুরুষাঙ্গের মডেল বা ডিলডো, জীবাণুমুক্ত ইনজেকশনের যন্ত্রপাতি, নন্টাচ টেকনিকে সিরিঞ্জ /নিডল সংগ্রহের জন্যে চিমটা, গ্লোভস্, মাস্ক, নির্যাতন ফরম, রেফারেল ফরম ও আউটরীচ কর্মকাণ্ড নথিভুক্ত করার জন্যে মনিটরিং সীট। আউটরীচ কর্মীরা আউটরীচ কাজের পাশাপাশি তালিকা ভুক্ত সুবিধাভোগীদের যৌনরোগ, কাউন্সিলিং, মাদক ব্যবহারকারীদের ঘাঁ বা ক্ষত ব্যবস্থাপনা ও ভিসিটির জন্যে ডিআইসিতে রেফার্ড করে থাকে।

এ্যাডভোকেসী সভা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম: মাদক ব্যবহার কারীদের সমাজে কেউ বিশ্বাস করতে চায়না, এমনকি তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক নির্যাতন, নিপীড়ন,হয়রানি ও গ্রেফতারের শিকার হন। এই কারণে তারা সমাজ থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখে । এক স্থান থেকে আরেক স্থানে চলে যায়, যার কারণে তাদের জন্য পরিচালিত সেবা কার্যক্রম পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে আইডিইউরা একই সুঁই/ সিরিঞ্জ দিয়ে বহুজনে মাদক গ্রহণ কিংবা অনিরাপদ যৌন আচরণসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে লিপ্ত হয়। আইডিইউদের জন্য সেবা কার্যক্রমের অত্যাবশ্যক উপাদান হলো একটি সহায়ক হুমকি মুক্ত নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা। সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণের মাঝে ডিআইসি কর্মকাণ্ডের গ্রহণীয়তা বৃদ্ধিসহ আইডিইউদের প্রতি অপবাদ বৈষম্য হ্রাস ক্লায়েন্ট ও আউটরীচ কর্মী যাতে যে কোন ভয়-ভীতি, হয়রানী, নির্যাতন,নিপীড়ন উপেক্ষা করে সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে ডিআইসি কো-অর্ডিনেটর স্থানীয় পর্যায়ে ডিআইসি উপদেষ্টা কমিটির সহযোগিতা নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে এ্যাডভোকেসির চাহিদা নির্ণয় করে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করে । এছাড়া কেয়ার বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের সমন্বয়ে আপস জেলা, বিভাগ ও জাতীয় নীতিনির্ধারকসহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সুনির্দিষ্ট দিকে প্রভাবিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।