Logo

 
কারিতাস বাংলাদেশ
Logo

কারিতাস বাংলাদেশ সম্পর্কে

কারিতাস পরিচিতি বাংলাদেশ কাথলিক বিশপ সম্মেলনী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কারিতাস বাংলাদেশ হচ্ছে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান এবং এটি জনগণের জন্য সমন্বিত সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে। এ সংস্থার নীতিমালা প্রণয়ন করে সাধারণ পরিষদ।নির্বাহী পরিষদের তত্ত্বাবধানে নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে কারিতাস ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে। কারিতাস ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে নভেম্বর মাসে প্রলংকরী ঘূর্ণিঝর আঘাত হানার পর এ সংস্থা পুনর্গঠিত হয়ে খ্রিস্টান অরগানাইজেশন ফর রিলিফ এ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অর্থ্যাৎ কোর (CORR) নামে কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জানুয়ারি এটি একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এ সংস্থাটি ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে পুনরায় কারিতাস নাম ধারণ করে। কারিতাস বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যাণ বিভাগের সোসাইটি এ্যাক্ট/সমবায় নিবন্ধন আইন ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দের ২১ ধারা অনুসারে ৩৭৬০-বি÷১১ স্মারক নম্বরের মাধ্যমে ১৯৭২-১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে নিবন্ধিত। এছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো-এর বৈদেশিক সাহায্যের (স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড) আওতাভুক্ত রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ১২ এপ্রিল ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দ তারিখে ০০৯ ক্রমিক নম্বরের মাধ্যমে এবং ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ক্ষুদ্র ঋণ রেগুলেটরি অথরিটি ২০০৬ ধারার আওতায় ১৬ মার্চ ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ তারিখে ০০০৩২-০০২৮৬-০০১৮৪ ক্রমিক নম্বরের মাধ্যমেও এই সংস্থাটি নিবন্ধিত। কারিতাসের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। এ সংস্থা বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, দিনাজাপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী এবং সিলেটে অবস্থিত আটটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং সমন্বিত মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক কর্মাকান্ড পরিচালনা করে। কারিতাসের দিগদর্শন, অনুপেরণা ও লক্ষ্য দিগদর্শনঃ কাথলিক মন্ডলীর সামাজিক শিক্ষার আলোকে কারিতাস বাংলাদেশ এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখে যেখানে স্বাধীনতা, ন্যায্যতা, শান্তি ও ক্ষমাশীলতার মূল্যবোধকে সমুন্নত রেখে জনগণ পারস্পরিক ভালবাসা ও শ্রদ্ধা নিয়ে মিলন সমাজে বসবাস করতে পারে। অনুপ্রেরণাঃ পবিত্র বাইবেলের বাণী দ্বারা কারিতাস অনুপ্রাণিত: যীশু বলেন, “... কারণ আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, আর তোমরা আমাকে খেতে দিয়েছিলে; তৃষার্ত ছিলাম আর আমাকে জল দিয়েছিলে; প্রবাসী ছিলাম আর আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলে; বস্ত্রহীন ছিলাম আর আমাকে পোশাক পরিয়েছিলে; পীড়িত ছিলাম আর আমার সেবাযত্ন করেছিলে; কারারুদ্ধ চিলাম আর আমাকে দেখতে এসেছিলে- এই ক্ষুদ্রতম ভাইদের একজনেরও প্রতি যা কিছু করেছ, তা আমারই প্রতি করেছ” (মথি ২৫:৩৫-৩৬,৪০) লক্ষ্যঃ কারিতাস বাংলাদেশ জনগণের বিশেষভাবে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশীদার হয়ে সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সমন্তিত উন্নয়ন সাধনের জন্য প্রচেষ্টা গ্রহণ করে যেন প্রত্যেকেই সত্যিকার অর্থে মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারে ও অন্যদেরকে দায়িত্বশীলতার সাথে সেবা প্রদানে সমর্থ হয়। অংশগ্রহণঃ জনগণের উন্নয়নে কারিতাস বাংলাদেশ অংশগ্রুহণমূলক নীতি অনুসরণ করে। উন্নয়ন কর্মকান্ডে পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কারিতাস সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়া অনুসারে জনগণ প্রভাব বিস্তার, অগ্রাধিকার নির্ধারণ, সম্পদ বরাদ্দকরণ এবং পণ্য ও সেবায় প্রবেশাধিকার ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। Program Coverage বিবরণ সংখ্যা বিবরণ সংখ্যা আঞ্চলিক অফিস আটটি প্রত্যক্ষ উপকারভোগী সংখ্যা ১,৯৩৫,৩৪২ জন ট্রাস্টি সংখ্যা 3টি প্রাথমিক সমিতি সংখ্যা ১৬,৪৭৮ টি প্রকল্প সংখ্যা 86টি মহিলা সমিতি সংখ্যা ১৩,০৪৮ টি বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প সংখ্যা ৭৭টি পুরুষ সমিতি সংখ্যা ৩,৪৩১ টি স্থানীয় জনগণের অর্থায়নে চলছে এমন প্রকল্প ১টি সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫৩,২২৪ জন নিজস্ব অর্থায়নে চলছে এমন প্রকল্প ৮টি নারী সদস্য সংখ্যা ২৭৪,৪৬৮ জন কর্মরত জেলা সংখ্যা ৫০টি পুরুষ সদস্য সংখ্যা ৭৮,৭৫৬ জন সিটি কর্পোরেশন সংখ্যা ৪টি কমিউনিটি বেইজড অর্গানাইজেশন ৮২৪টি উপজেলা সংখ্যা ২০৮টি মোট কর্মী সংখ্যা ৬,১৪৭ জন ইউনিয়ন সংখ্যা ১,১০২টি স্থায়ী কর্মী সংখ্যা ২,৯৭৫ জন গ্রাম সংখ্যা ১৫,৫৫২টি অস্থায়ী কর্মী সংখ্যা ৩,১৭২ জন Program Infrastructure বিবরণ সংখ্যা বিবরণ সংখ্যা ইউনিট অফিস সংখ্যা ২৩৪ প্রাকৃতিক সম্পদ কেন্দ্র ৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১০টি মোবাইল টেকনিক্যাল স্কুল ২৩টি সাইক্লোন সেন্টার ২৪২টি চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি ৭৮টি আইসিডিপি স্কুল ৩০টি টিবি এন্ড ল্যাপ্রোসি সেন্টার ৩০টি ইউসিপিইপি স্কুল ১১৩টি লিম্ব সেন্টার ১টি শিক্ষাকেন্দ্র (আলোঘর) ১,০০৫টি মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্র ১টি আঞ্চলিক কারিগরী বিদ্যালয় ৪টি Drop in Centers for drug addicts and physically challenged people ৩টি ইলসা প্রকল্পের বীজ সংরক্ষণাগার ১৮৮টি

 

NGO সমূহ