- সেবা সমূহ
- প্রকল্প সমূহ
- কর্মকর্তা বৃন্দ
- তথ্য
- ফটোগ্যালারি
- অর্গানোগ্রাম
- পরিচালক বৃন্দ
- যোগাযোগ
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা
- নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- ডাউনলোড
- নোটিশ
- ত্রান
- রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য
- গভর্নিং বডি
- নির্বাহী পরিষদ
- কর্মকর্তার তথ্য
- কর্মী সংক্রান্ত তথ্য
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার তথ্য
- পরিচালক এর তথ্য
- প্রতিবেদন
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), রাজশাহী ইউনিট
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), রাজশাহী ইউনিট সম্পর্কে
ব্লাস্ট ইতিহাসঃ
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক বেসরকারী সংস্থা। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট একটি ট্রাষ্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত। উক্ত ট্রাষ্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি হলেন জনাব ড. কামাল হোসেন এবং সহ-সভাপতি হলেন বিচারপতি জনাব মো. আওলাদ আলী। সংস্থাটির একটি এক্সিকিউটিভ কমিটি এবং একটি কনসালটেটিভ গ্রুপও আছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর বৈশিষ্ট হলো এটি একটি জাতীয় আইন সহায়তা সংস্থা। ঢাকায় অবস্থিত সংস্থার প্রধান কার্যালয় ছাড়াও দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহর এবং তেরটি জেলা শহরে ব্লাস্টের শাখা কার্যালয় ও ২টি ল;ক্লিনিক (রাজশাহী ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন) রয়েছে। প্রত্যেকটি জেলা ইউনিট কার্যালয় স্থানীয় বার এসোসিয়েশনের সহায়তায় স্থাপিত হয়েছে এবং জেলা ইউনিট কার্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বার এসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্য থেকে গঠিত একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। এ ব্যবস্থাপনা কমিটি স্থানীয় বার এসোসিয়েশনের পর পর তিন বছরের নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জন এবং দুজন মহিলা আইনজীবী , মানবাধিকার মনোভাবাপন্ন দুজন আইনজীবী , সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন আইনজীবী প্রতিনিধিসহ মোট এগার জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। এছাড়া প্রত্যেকটি জেলা ইউনিট কার্যালয়ের জন্য বিভিন্ন পেশার নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে। প্রত্যেক জেলা ইউনিট কার্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী সমন্বকারী হিসেবে কাজ করে থাকেন। এ্ই সংগঠনে ৩০০ জনের বেশী কর্মী এবং ২৫০০ জনের বেশী স্বেচ্ছাসেবী আইনজীবী কাজ করে।
এ সংস্থা বিনামূল্যে আইনগত সকল ধরণের পরামর্শের পা্রমাপাশি নির্যাতীত, অসহায়, ও গরীব মানুয়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিনামূল্যে মামলা পরিচালনা করে থাকে। এ সংস্থা প্রধান কার্যালয়সহ দেশের ১৯টি জেলায় শাখা অফিসের মাধ্যমে নারী নির্যাতনমূলক পারিবারিক, যৌতুক, বহুবিবাহ, শ্রম বিষয়ক দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলাসমূহ পরিচালনা করে থাকে। প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে দেশের যে কোন স্থান থেকে প্রেরিত গরীব ও অসহায় মানুযের মামলাসমূহ মহামন্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট এবং আপীল বিভাগে বিনামূল্যে পরিচালনা করা হয়। এটি তৃণমূল পর্যায়ে মানবাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে, আইনী পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করে, মামলা ও সালিস পরিচালনা করে। অধিকার ও আইনী সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এডভোকেসির অংশ হিসেবে ব্লাস্ট জনস্বার্থে মামলাও পরিচালনা করে। এছাড়া ব্লাস্ট অন্যান্য সংস্থার সাথে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ক বিভিন্ন ঘটনার তথ্যানুসন্ধান বা তদন্ত কার্য যৌথভাবে পরিচালনার, অভিজ্ঞতা ও তথ্য বিনিময়, পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মিশন :
ব্লাস্টের মিশন হলো দেশের দরিদ্র, অসহায ও প্রান্তিক জনগোষ্টির জন্য আইনের আশ্রয় লাভের ব্যবস্থাকে সহজ করা
ভিশন :
ব্লাস্ট প্রত্যাশা করে আইনের শাসন ভিত্তিক সেই সমাজ ব্যবস্থা যা প্রত্যেক দরিদ্র, প্রন্তিক বিশেষ করে নারী , শিশু, আদিবাসী, প্রতিবন্ধি, দলিতদের বিচারে প্রবেশ যোগ্যতা নিশ্চিত করে এবং মানবাধিকার সুরক্ষিত ও সম্মানিত থাকে।
উদ্দেশ্য সমূহ :
উল্লেখিত মিশন ভিশন অনুযায়ী ব্লাস্টের বিশেষ উদ্দেশ্য সমূহ
১. বিনামূল্যে আইনী সাহায্য দেওয়া এবং জনস্বার্থ মামলা এবং এডভোকেসী কার্যক্রম বিনামূল্যে প্রদান করার মাধ্যমে সুরক্ষিত বিচার পাবার সুযোগ সৃষ্টি করে যাতে কোন ব্যাক্তি ক্ষতিগ্রস্থ না হয়
২. আইনী সহায়তা ও সেবা ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ট্রাস্ট তহবিল পরিচালনা করা।
৩. স্থানীয় পর্যায় সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বার এসোসিয়েশনে আইন সহায়তা, সেবা ও মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা।
৪. আইনজীবী, কর্মী ও অন্যান্যদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ ধরণের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম পরিচালনা
৫. মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে এনজিও সহ সকল ইউনিটের কাজের সাথে সমন্বয় সাধন
৬. আইনজীবীদের ব্যবহারযোগ্য মৌলিক গবেষণা, প্রতিবেদন প্রকাশ করা
৭. অবহেলিত ব্যক্তিকে আইনী সাহায্য দেয়ার জন্য দায়িত্ব সচেতনতা সহ সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে উন্নত আইনী শিক্ষর জন্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করা
৮. আইনজীবী, শিক্ষক, আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য সেমিনার, সিম্ফোজিয়াম ও এক্সটেনশন লেকচার সংগঠিত করা এবং আন্তজার্তিক সম্মেলন, কর্মশালা, প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাগত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ উন্নীত করা