- প্রথম পাতা
- সেবা সমূহ
- কর্মকর্তা বৃন্দ
- তথ্য
- ফটোগ্যালারি
- অর্গানোগ্রাম
- পরিচালক বৃন্দ
- যোগাযোগ
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা
- নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- ডাউনলোড
- নোটিশ
- ত্রান
- রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য
- গভর্নিং বডি
- নির্বাহী পরিষদ
- কর্মকর্তার তথ্য
- কর্মী সংক্রান্ত তথ্য
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার তথ্য
- পরিচালক এর তথ্য
- প্রতিবেদন
প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি এর প্রকল্প সমূহ
নতুন ধারণা পরীক্ষায় শিখন ও উদ্ভাবনী তহবিল (এলআইএফটি/লিফট) কর্মসূচি
প্রয়াস ২০১৪ সাল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৬ টি ইউনিয়নে এলআইএফটি পরিক্ষামূলক কাজের বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। খামারী পর্যায়ে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন করে কমিউনিটির পরিবারদেরকে দারিদ্র্য থেকে হ্রাস করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়াস এই উদ্যোগটি হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যসমূহ-
- বিভিন্ন প্রকার ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনের মাধ্যমে সংরক্ষণ ও উন্নতিতে অবদান রাখা;
- কমিউনিটির অতি দরিদ্র পলাকদের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা করা;
- পারিবারিক পর্যায়ে ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের উৎপাদন ও সংরক্ষণ বৃদ্ধি করা।
বাংলাদেশে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল গবাদিপশু পালনের দিক থেকে খুবই উপকারি। দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন আয়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস। বেকারত্ব ও দরিদ্রতা হ্রাস, আমিষের চাহিদা পূরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এক্ষেত্রে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদেয় হিসেবে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ছাগল রয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ ছাগলই ব্লাক বেঙ্গল। ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস এবং চামড়া দু’টাই খুবই মূল্যবান এবং দুধ এবং পুষ্টির চাহিদা পূরণে এই ব্লাক বেঙ্গল ছাগল খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ব্লাক বেঙ্গল ছাগল বছরে দু’বার এক সঙ্গে ২-৩ টি করে বাচ্চা দেয়। এই ব্লাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল অতি দরিদ্র পরিবারের জন্য একটি বাড়তি আয়ের উৎস হতে পারে। যেহেতু ব্লাক বেঙ্গল ছাগল আইজিএ প্রকল্পের আওতায় আয়ের একটি অন্যতম উৎস হতে পারে তাই প্রয়াস পিকেএসএফ এর সহায়তায় কমিউনিটির লোকদের ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনে উৎসাহিত ও সহায়তা প্রদান করছে। এলআইএফটি প্রকল্পের আওতায় ৫৫৬ টি পরিবার ৫৫৬ টি খামারে ৬,৫৪৫ টি ছাগল পালন করে আর্থিক দিক থেকে লাভবান হন। এক্ষেত্রে প্রয়াস কমিউনিটির লোকদের ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনে নেপিয়ার ঘাস লাগানো , কাটা, বিনামূল্যে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন প্রদান, ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তাসহ আরও অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করেন। প্রয়াসের উদ্যোগে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালনে ৩ টি এলাকায় ১.৫ একল জমিতে ঘাস লাগিয়ে প্রদশর্নীর ব্যবস্থা করা হয় এবং ১৩৬ টি ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন করা হয়। এই প্রদর্শনী এলাকায় ঘাসের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ফল যেমন আম, পেয়ারা, কাঠালসহ অন্যান্য ফলের গাছও লাগানো হয়।
মানব-পাচার প্রতিরোধে সতর্কীকরণ প্রকল্প
অভ্যন্তরীণ মানব পাচার, ক্রস সীমানাগুলোতে জোরপূর্বক জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক অনিচ্ছাকৃত অভিবাসনের সাথে জড়িত, পাচারের পর তাদের জোরপূর্বক শ্রমের জড়ানো এবং শোষণ ও নিপীড়ন ও যৌন অপরাধসহ ভয়াবহ এই অপরাধগুলোর পরিসমাপ্তি ঘটানোর জন্য মূলত প্রয়াস কাজ করেছে। অনিয়মিত অভিবাসন প্রক্রিয়া মানব পাচারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ সীমন্তের অভ্যন্তরীণ এবং ক্রস বর্ডার উভয় দিক থেকেই বড় ধরণের সমস্যা রয়েছে। বাংলাদেশে অনেক বড় একটি সংখ্যা এসব মানব পাচারের শিকার, যারা জীবন-জীবিকার দায়ে কম টাকা খরচে কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বাইরে যেতে চায় তাদের ক্ষেত্রেই মূলত এই ঘটনাটি বেশি ঘটে থাকে। অনিরাপদ অভিবাসনসহ অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ২০১৭ সাল থেকে প্রয়াস উইনরকের আর্থিক তহবিলের সহযোগিতায় কাজ করছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩ টি কৌশল নেয়া হয়- প্রতিরোধ, সুরক্ষা এবং প্রসিকিউশন। প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি এসব প্রতিরোধে নিজের কিছু সহযোগী বন্ধু রয়েছে। প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি উত্তরবঙ্গের ৫ টি জেলায় এ কাজগুলো করছে জেলাগুলো হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও দিনাজপুর। এই প্রকল্পের আওতায় মূলত কমিউনিটির লোকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, মানব পাচার প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন ব্যবস্থার লক্ষ্যে মূলত এই প্রকল্প কাজ করছে।
প্রয়াস আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি
প্রয়াস দরিদ্র, ভূমিহীন, শ্রমজীবী ও প্রান্তিক চাষিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়ে তাদের আতœনির্ভরশীল করার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত। দরিদ্র মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানো ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়াস সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ‘প্রয়াস আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি’ সমন্বিত উন্নয়নের একটি উদ্যোগ। কর্মসূচির লক্ষ্য দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে একটি বিশেষ সাংগঠনিক কাঠামোর আওতাধীন এনে সঞ্চয় ও ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠনের মধ্যে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অর্থনৈতিক কার্যক্রম গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনে সহযোগিতা করা। উদ্দেশ্য হচ্ছে অভিষ্ট শ্রেণীর সুসংগঠিত ও সচেতন সংগঠন গঠন এবং সংগঠনের নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনায় দক্ষ নেতৃত্ব উন্নয়ন করা। পুরুষ ও মহিলা উভয়কে আয়বর্ধক কর্মসূচির আওতায় এনে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আয় বৃদ্ধি করানো এবং ধীরে ধীরে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য সহায়তা প্রদান অব্যহত রাখা। বর্ধিত আয় হতে বর্ধিত হারে সঞ্চয় করে নিজস্ব পূঁজি সৃষ্টির মাধ্যমে দরিদ্র শ্রেণীর লোকদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য সহায়তা প্রদান অব্যহত রাখা। আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে মহাজনি চড়া সুদে টাকা লগ্নি, ফসল অগ্রীম বিক্রি, জমি-জমা বিক্রি ও বন্ধক প্রথা ইত্যাদি পর্যায়ক্রমে কমানো তথা চূড়ান্ত ভাবে বন্ধ করতে সহায়তা করা। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিষ্ট জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা এবং যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠনের সদস্যদের নিজস্ব পরিকল্পনায় প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অন্যান্য আনুষাঙ্গিক দিকগুলোর উন্নয়ন সাধন করা। ঋণ কার্যক্রমে মহিলাদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে তাদেরকে সরাসরি উৎপাদনে সম্পৃক্ত করা ও পরিবারে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করা। দরিদ্র এবং বিভিন্ন ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত জনগণকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় সংঘবদ্ধ করা যেন তারা বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সুবিধা আদায়ে সক্ষম হয়। উদ্যোগী ও কর্মঠ পুরুষ ও মহিলাদেরকে ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে ঋণ প্রদান এবং স্বনিয়োজিত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।